আবদুল্লাহ আল হৃদয়ঃ- আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রফতানি শুরু করেছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। এ বছর বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত ৩৭টি প্রতিষ্ঠান মোট ১২০০ টন ইলিশ রফতানি করতে পারবে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে তিনটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ১১৯২ কেজি ইলিশ ভারতের আগরতলায় পাঠানো হয়।
রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহতাব এন্ড সন্স দুটি পিকআপে ৫৩ বক্সে এই চালান পাঠায়। প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি মূল্য ছিল ১২.৫০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১,৫৩৩ টাকা। প্রতিটি ইলিশ মাছের ওজন ছিল ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোঃ শাহ নেওয়াজ ভূঁইয়া শানু জানান, কেজিপ্রতি সাড়ে ১২ ডলারে ইলিশ রফতানি হয়েছে। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, যদি রফতানি মূল্য ১৫ ডলার নির্ধারণ করা যেত, তাহলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য আরও লাভজনক হতো।
স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও কোয়ারান্টাইন কর্মকর্তা অতিরিক্ত মোঃ রেজাউল করীম জানান, রফতানির আগে আইস ও মাছের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, গত বছর এ স্থলবন্দর দিয়ে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩৬ টন ইলিশ ভারতে রফতানি হয়েছিল।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের অংশ হিসেবেই দুর্গাপূজা উপলক্ষে এ রফতানি হয়ে থাকে। পদ্মার রূপালী ইলিশ দুই বাংলার মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়। বিশেষ করে দুর্গাপূজার সময় অতিথি আপ্যায়নে ইলিশ থাকে বাঙালির খাদ্যতালিকার প্রধান আকর্ষণ।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে উৎপাদন সংকট দেখিয়ে সরকার ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয়। তবে ২০১৯ সাল থেকে কেবল দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ বিবেচনায় ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। এ বছর ব্যবসায়ীদের আবেদনের পর সরকার ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ৫ অক্টোবর এর মধ্যে এ রফতানি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।