আবদুল্লাহ আল হৃদয়ঃ-
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপার্সন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নে এক বিশাল দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচির সূচনা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি, জননেতা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
ইছাপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম মেম্বারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এনাম খাঁ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম খোকন ও সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বিগত দিনের রাজনৈতিক পরিস্থিতির স্মৃতিচারণ করে বলেন, "এই ইউনিয়নের কিছু দানব অতীতে আমার গাড়ি ভাংচুর করেছিল। বিগত ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আমি এবং ডামি প্রার্থীর নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছিল, আমরা আর এমন প্রহসনের নির্বাচন দেখতে চাই না।"
আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিকল্পনা ও নির্বাচনী প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, "আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করব। আপনারা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন, তবে কথা দিচ্ছি—আমি আপনাদের সুখে-দুখে পাশে থাকব এবং এলাকার উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখব।"
অনুষ্ঠানে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, গোলাম সারুয়ার খোকন, এ বি এম মমিনুল হক, আলী আজ্জম, নুরুল হুদা সরকার, মনির হোসেন, বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির জমির হোসেন দস্তগীর, এডভোকেট ইমাম হোসেন, শাহ আলম, বিআরডিবি চেয়ারম্যান এইচ এম জহিরুল ইসলাম। এছাড়াও মহিলা দলের সভাপতি মরিয়ম আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক শিউলী আক্তারসহ বিএনপি,যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। এরপর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও আশু রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্যও দোয়া করা হয়।